হবিগঞ্জের অনিতা শ্রীমঙ্গলে স্বামীর হাতে খুন
হবিগঞ্জের মেয়ে অনিতা রাণী দাশ নামের এক কলেজ ছাত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। স্বামী অনুজ কান্তি দাশ (৩৮) দৈনিক ইত্তেফাকের শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি বলে জানা গেছে। নিহত কলেজ ছাত্রীর পিতা কৃষক দীলিপ দাশ ইতোমধ্যে শ্রীমঙ্গল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে অনিতা সবার বড়। অপরদিকে দুই ভাই এক বোনের মধ্যে অনুজ কান্তি দাশ দ্বিতীয়। বানিয়াচং উপজেলার পুকরা ইউনিয়নের মুরারআব্দা গ্রামের কৃষক দীলিপ দাশের কন্যা শচীন্দ্র ডিগ্রী কলেজের ছাত্রী অনিতা রাণী দাশের সাথে ২০১৮ সালের মে মাসে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার পূর্বাশা আবাসিক এলাকার নরেশ চন্দ্র দাশের পুত্র অনুজ কান্তি দাশের সাথে সামাজিক ও ধর্মীয় রীতি-নীতি অনুযায়ী বিয়ে হয়।
কি ধরণের মাইক্রোফোন কিনবেন ভেবে পাচ্ছেন না?
বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই অনিতার স্বামী গভীর রাতে মদ পান করে ঘরে এসে মারপিট করতো তাকে। তার নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে অনেকদিন পিত্রালয়ে ছিল অনিতা। এক পর্যায়ে স্থানীয় শালিস শেষে অনিতা স্বামীর বাড়িতে ফেরত আসে। এরপরও থেমে থাকেনি স্বামী অনুজের নির্মম অত্যাচার। গত ২৮ নভেম্বর অনিতার পিতাকে মোবাইল ফোনে জানানো হয়, আপনার মেয়ে অসুস্থ্য, তাড়াতাড়ি এসে দেখে যান। মেয়ের অসুস্থতার খবর শুনে অনিতার পিতাসহ আত্মীয় স্বজন ছুটে যান শ্রীমঙ্গল পলি ক্লিনিকে। সেখানে গিয়ে অনিতাকে অজ্ঞান অবস্থায় ও মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছে দেখতে পান। এছাড়াও তার শরীরের অনেক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখা যায় বলে জানান অনিতার পিতা। পরে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে সেখানে আইসিইউতে রাখা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্তায় গত মঙ্গলবার অনিতা মারা যায়। পরে লাশ তড়িঘড়ি করে সৎকার করার জন্য স্বামীর বাড়ীর লোকজন চেষ্টা চালায়। তাৎক্ষনিক অনিতার পিতা দীলিপ দাশ বাদি হয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় অভিযোগ দাখিল করেন। পরে এসআই আলমগীরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মর্গে প্রেরন করেন। নিহত অনিতার পিতা দীলিপ দাশ জানান, শারীরিক নির্যাতন করে পরিকল্পিতভাবে তার মেয়েকে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী অনুজ। তিনি জানান, আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার চাই।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (তদন্ত) জানান, অভিযোগ পেয়েছি। যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঘটনা কতটুকু সত্য এ বিষয়ে সন্দেহ আছে। তবে সত্য হলে পাষন্ড স্বামীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
ReplyDelete