Header Ads

টাকা দিয়ে যে কাওকে বিশ্বাশ করতে নেই বিস্তারিত দেখুন

 গুনে দেওয়ার কথা বলে ৫১ হাজার টাকা নিয়ে ব্যাংক থেকে চম্পট


বেস্ট অফারে অরিজিনাল লাইট ষ্ট্যান্ড কিনুন। সাথে পাচ্ছেন ৬ মাসের অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি এবং হোম ডেলিভারি। আপনার পছন্দে লাইট ষ্ট্যান্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন। আমাদের আরও কালেকশন দেখতে ছবিতে ক্লিক করুন>>>>>


কুয়েতপ্রবাসী স্বামীর পাঠানো টাকা তুলতে ব্যাংকে এসেছিলেন এক নারী। ক্যাশ কাউন্টারে ব্যাংক কর্মকর্তার কাছ থেকে ৫১ হাজার টাকা উত্তোলনও করেন তিনি। তবে ঠিকঠাক টাকাগুলো গুনতে পারছিলেন না। তখন পাশে থাকা এক ব্যক্তি এগিয়ে আসেন। টাকাগুলো গুনেও দেন। এরপরই কৌশলে ওই টাকা নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।

আজ সোমবার বেলা একটার দিকে সোনালী ব্যাংকের নরসিংদীর মাধবদী শাখায় এমন প্রতারণার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় মাধবদী থানার পুলিশ সোনালী ব্যাংকের ওই শাখায় এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে ব্যাংকটির ওই শাখায় কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় প্রতারক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে পারছে না পুলিশ।

প্রতারণার শিকার ওই নারীর নাম হালিমা বেগম (৪০)। তিনি মাধবদীর খিদিরকান্দি গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী পরশ আলীর স্ত্রী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতারক ওই ব্যক্তির বয়স ৫০–এর কাছাকাছি। তাঁর গায়ের রং কালো এবং ঘটনার সময় মাথায় টুপি পরিহিত ছিলেন তিনি।

বেস্ট অফারে অরিজিনাল মাইক্রোফোন কিনুন। সাথে পাচ্ছেন ৬ মাসের অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি এবং হোম ডেলিভারি। আপনার পছন্দে Microphone সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন। আমাদের আরও কালেকশন দেখতে ছবিতে ক্লিক করুন>>>>>

ভুক্তভোগী হালিমা বেগম বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য এই প্রথম টাকা পাঠিয়েছিলেন কুয়েতপ্রবাসী স্বামী। আজ বেলা একটার দিকে ওই টাকা তোলার জন্য সোনালী ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টারে ৫১ হাজার টাকার চেক জমা দেন দিনি। টাকা হাতে পাওয়ার পর ওই টাকা গুনে দিতে এগিয়ে আসেন পাশে থাকা এক ব্যক্তি। তিনি এগিয়ে এসে বলেন, ‘আপনি এত টাকা গুনতে পারবেন? দেন, গুনে দিই।’ পরে ওই টাকা গুনে দেওয়ার পর তিনি তা হাতের ভ্যানিটি ব্যাগে রাখেন। কিন্তু ব্যাংক থেকে বের হওয়ার সময় দেখেন, টাকাগুলো নেই, ওই ব্যক্তিও নেই।

ওই নারী আরও বলেন, ‘আমি সব সময়ই এই ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে আসি কিন্তু এমন ঘটনা কোনো দিন ঘটেনি। করোনার এই সময়ে এরই মধ্যে অনেক টাকা ঋণ হয়ে আছি, এখন কীভাবে কী করব, কিছুই বুঝতে পারছি না।’

সোনালী ব্যাংকের মাধবদী শাখার ব্যবস্থাপক নূরে আলম বলেন, প্রতারক ওই ব্যক্তি কৌশলে টাকাগুলো নিয়ে পালিয়েছেন। ব্যাংক–সংশ্লিষ্ট কাউকে যদি টাকাগুলো গুনে দিতে বলতেন, তাহলে এমন ঘটনা ঘটতে না। পুরো ঘটনাটি ওই নারীর বোকামির কারণে ঘটেছে।

ব্যাংকটিতে সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকা প্রসঙ্গে নূরে আলম বলেন, সোনালী ব্যাংক একটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান। তাঁরা চাইলেই সিসিটিভি ক্যামেরা কিনে লাগাতে পারেন না। তবে যোগদানের পরপরই সিসিটিভি ক্যামেরার জন্য সদর দপ্তর বরাবর আবেদন দিয়েছেন।

মাধবদী থানার সহকারী উপপরিদর্শক রুবেল আহমেদ বলেন, থানায় এসে হালিমা বেগম নামের এক নারীর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে সোনালী ব্যাংকের সেই শাখায় যান। তবে ব্যাংকটির ওই শাখায় একটিও সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় পালিয়ে যাওয়া ওই প্রতারককে চিহ্নিত করা যায়নি।সূত্র প্রথম আলো

No comments

Theme images by ImagesbyTrista. Powered by Blogger.