বিদ্যুতের তার টেম্পারিং করে অর্ধকোটি টাকার বিল ফাঁকি
জানা গেছে, উপজেলার দড়গ্রাম ইউনিয়নের রৌহা গ্রামের বাসিন্দা মো. নকুবুদ্দিনের হিসাব নং ০৫-৩৭১-৩১০০ মিটার ধারা সংযোগ ক্যাবল থেকে পাশের বাড়ির মৃত মোজাফরের ছেলে আব্দুস সোবহান প্রায় চার বছর আগে মিটারধারী ব্যক্তির অজ্ঞাত অবস্থায় অবৈধভাবে পিলার এবং মিটারের সংযোগ ক্যাবলের মাঝখান থেকে ১০টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুত্ সংযোগ দিয়েছেন।
প্রতিষ্ঠাগুলোর মধ্যে একটি দুগ্ধ কারখানা, একটি এনজিও অফিস, একটি স্পোর্টিং ক্লাব, একটি অটোভ্যান চার্জার কেন্দ্র, চারটি মুদি দোকান, দুটি ইলেকট্রনিক্স মেকারের দোকান ও পাঁচটি বাড়িতে সম্পূর্ণভাবে প্রতিদিন বিদ্যুত্ ব্যবহার করা হচ্ছে। যার বিনিময়ে আব্দুস সোবহান প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকার বিদ্যুত্ বিল বাবদ উত্তোলন করে থাকেন। ফলে মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত্ সমিতি গত চার বছরে প্রায় অর্ধকোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
ইউটিউব ভিডিও তৈরি করবেন, লাইটিং নিয়ে ভাবছেন? আর নয় ভাবনা...
গতকাল সোমবার উপজেলার দড়গ্রাম পল্লী বিদ্যুতের অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. রজ্জব আলী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে এর সত্যতা পান। এ সময় আলামত হিসেবে নকুবুদ্দিনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। এছাড়া অভিযুক্ত আব্দুস সোবহানের নিজের ব্যবহূত মিটারের সংযোগটিও বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ সময় এলাকাবাসী আব্দুস সোবহানের অপকর্মের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দড়গ্রাম ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেম্বার মোহম্মদ কৈফত আলী, বর্তমান মেম্বার মো. সিদ্দিকুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা ইয়ার খান, নুরুল ইসলাম, নাসিরুদ্দিন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে অভিযুক্ত আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে স্থানীয় মসজিদ-মাদ্রাসা কবরস্থানের প্রায় ২১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ঐ সব প্রতিষ্ঠান থেকে ও দড়গ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মজিবর রহমান।
আব্দুস সোবহান এ ঘটনা সংযুক্ত হওয়ার শুরুতেই পল্লী বিদ্যুতের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও এলাকায় যখন যিনি মিটার রিডিংয়ের দায়িত্বে থাকেন তাদের ম্যানেজ করে এ অপকর্ম করতেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুস সোবহানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে সাটুরিয়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. ওবাইদুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
No comments