‘হাচু আপা, হাচু আপা... আমি একটু আব্বা বলি’ আজকের কুইজের উত্তর দেখুন এখানে
সত্যিই ভালোবাসার সব সীমা-পরিসীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। পরিবারকে ছাপিয়ে বাঙালি জাতির প্রতি ভালোবাসার বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি বলেই তিনি বিশ্ব মানবজাতিকে নিয়েও ভাবতেন।সত্যিই ভালোবাসার সব সীমা-পরিসীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। পরিবারকে ছাপিয়ে বাঙালি জাতির প্রতি ভালোবাসার বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি বলেই তিনি বিশ্ব মানবজাতিকে নিয়েও ভাবতেন।
তার অস্তিত্ব ও রাজনীতিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল সেই ভালবাসা, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।
ঘাতকদের বুলেট বিদ্ধ না করলে হয়তো সেই ভালোবাসা আরো উদ্ভাসিত হতো। পালন করতে হতো না শোক দিবস!
উত্তর দেখতে এখানে ক্লিক করুন........
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা চারটি খাতা ২০০৪ সালে আকস্মিকভাবে তারই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আসে। অনেক আগের খাতাগুলোর পাতা ছিল জরাজীর্ণ, লেখাও অস্পস্ট। মূল্যবান সেই খাতাগুলো পাঠ করে জানা যায় এটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা চারটি খাতা ২০০৪ সালে আকস্মিকভাবে তারই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আসে। অনেক আগের খাতাগুলোর পাতা ছিল জরাজীর্ণ, লেখাও অস্পস্ট। মূল্যবান সেই খাতাগুলো পাঠ করে জানা যায় এটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী।
উত্তর দেখতে এখানে ক্লিক করুন........
১৯৬৮ সালের মাঝামাঝি যা তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বসে লিখেছিলেন, কিন্তু শেষ করতে পারেননি।
তার সেই খণ্ড খণ্ড লেখা নিয়ে ২০১২ সালে প্রকাশিত হয়েছে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি।
আত্মজীবনী অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধুর ভাষায়- ‘একদিন সকালে আমি ও রেণু বিছানায় বসে গল্প করছিলাম। হাচু ও কামাল নিচে খেলছিল। হাচু মাঝে মাঝে খেলা ফেলে আমার কাছে আসে আর ‘আব্বা’ ‘আব্বা’ বলে ডাকে। কামাল চেয়ে থাকে। এক সময় কামাল হাচিনাকে বলছে, উত্তর দেখতে এখানে ক্লিক করুন........
“হাচু আপা, হাচু আপা, তোমার আব্বাকে আমি একটু আব্বা বলি। ” আমি আর রেণু দু’জনই শুনলাম। আস্তে আস্তে বিছানা থেকে উঠে যেয়ে ওকে কোলে নিয়ে বললাম, “আমি তো তোমারও আব্বা। ” কামাল আমার কাছে আসতে চাইত না। আজ গলা ধরে পড়ে রইল। বুঝতে পারলাম, এখন আর ও সহ্য করতে পারছে না। নিজের ছেলেও অনেক দিন না দেখলে ভুলে যায়! আমি যখন জেলে যাই তখন ওর বয়স মাত্র কয়েক মাস। রাজনৈতিক কারণে একজনকে বিনা বিচারে বন্দি করে রাখা আর তার আত্মীয়-স্বজন ছেলে-মেয়েদের কাছ থেকে দূরে রাখা যে কত বড় জঘন্য কাজ তা কে বুঝবে? মানুষ স্বার্থের জন্য অন্ধ হয়ে যায়। ’
বইটির প্রচ্ছদের পরেই বর্ণনা করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পাওয়ার ঘটনা। বঙ্গবন্ধু কন্যা ২০০৭ সালে শেরে বাংলানগরে সাব জেলে বসে আত্মজীবনীর ভূমিকা লেখেন।
সেদিনের সেই হাচু আপা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিখেন, ‘আমার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জীবনের সব থেকে মূল্যবান সময়গুলো কারাবন্দি হিসেবেই কাটাতে হয়েছে। জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করতে গিয়েই তার জীবনে বারবার এই দুঃসহ নিঃসঙ্গ কারাজীবন নেমে আসে। তবে তিনি কখনও আপোস করেন নাই। ফাঁসির দড়িকেও ভয় করেন নাই। তার জীবনে জনগণই ছিল অন্তঃপ্রাণ। মানুষের দুঃখে তার মন কাঁদত। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাবেন, সোনার বাংলা গড়বেন- এটাই ছিল তার জীবনের একমাত্র ব্রত...। ’
‘নিজের জীবনের সুখ আরাম আয়েশ ত্যাগ করে জনগণের দাবি আদায়ের জন্য এক আদর্শবাদী ও আত্মত্যাগী রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন, বাঙালি জাতিকে দিয়েছেন স্বাধীনতা। বাঙালি জাতিকে বীর হিসেবে বিশ্বে দিয়েছেন অনন্য মর্যাদা, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ নামে বিশ্বে এক রাষ্ট্র সৃষ্টি করেছেন...। ’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে শহীদ হওয়ার পর দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করেছেন শেখ হাসিনা।
ভূমিকায় তিনি আরো লিখেছেন, ‘...এই মহানায়ক স্বাধীনতা সংগ্রাম শেষে যখন দেশ পুর্নগঠন ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন নিশ্চিত করছিলেন তখনই ঘাতকের নির্মম বুলেট তাকে জনগণের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে। স্বাধীন বাংলার সবুজ ঘাস তার রক্তে রঞ্জিত হয়েছে। বাঙালি জাতির ললাটে চিরদিনের জন্য কলঙ্কের টিকা অঙ্কন করে দিয়েছে খুনিরা। ’
শেখ হাসিনা লিখেন, একাত্তর সালে ২৫ মার্চ মধ্যরাতে স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়ার পরপরই আমাদের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িতে পাকিস্তানি সেনা বাহিনী হানা দেয় ও গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এরপর ছোট দু’ভাই রাসেল ও জামালকে নিয়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেন মা। ২৬ মার্চ রাতে আবারো হানা দেয়, তছনছ ও লুটপাট করে। ১৯৮১ সালে ১৭ মে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এলে জিয়া সরকারের অধীনে ছিল বাড়িটা। ওই বছরের ১২ জুন সাত্তার সরকার বাড়িটা হস্তান্তর করে। বাবার ঘুমাবার রুমের পাশে ড্রয়িং রুমের আলমারির উপরের এক কোণে কিছু খাতার মধ্যে আত্মজীবনীর জন্য লেখা খাতার জীর্ণ কিছু পাতা পাওয়া যায়।
‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র তথ্য অনুযায়ী, ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর বেদনা জর্জরিত শেখ হাসিনার হাতে আসে ৪টি খাতা। শেখ হাসিনার এক ফুপাত ভাই খাতাগুলো দিয়েছিলেন, সম্ভবত আরেক ফুপাত ভাই বাংলার বাণীর সম্পাদক শেখ ফজলুল হক মণির অফিসের টেবিলের ড্রয়ার থেকে খাতাগুলো পায়। সম্ভবত টাইপ করার জন্য সেখানে দিয়েছেলেন বঙ্গবন্ধু।
শেখ হাসিনা লিখেন, ‘খাতাগুলো হাতে পেয়ে আমি তো প্রায় বাকরুদ্ধ। এই হাতের লেখা আমার অতি চেনা। ছোট বোন রেহেনাকে ডাকলাম। দুই বোন চোখের পানিতে ভাসলাম। হাত দিয়ে ছুঁয়ে ছুঁয়ে পিতার স্পর্শ অনুভব করার চেষ্টা করলাম। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি; তারপরই এই প্রাপ্তি। মনে হল যেন পিতার আর্শীবাদের পরশ পাচ্ছি...’
‘মনে হচ্ছিল আব্বা আমাকে যেন বলছেন, ভয় নেই মা, আমি আছি, তুই এগিয়ে যা, সাহস রাখ। আমার মনে হচ্ছিল, আল্লাহর তরফ থেকে ঐশ্বরিক অভয় বাণী এসে পৌঁছাল আমার কাছে। ’
সদ্য প্রয়াত বেবী মওদুদ, শেখ হাসিনা আর শেখ রেহেনা পরে সেই খাতা থেকে পাঠ উদ্ধারের উদ্যোগ নেন।
বঙ্গবন্ধু ১৯৫৫ সাল থেকে আত্মজীবনী লিখেছেন, ১৯৬৬-৬৯ কারাগারে থাকাকালে।
সত্যিই ভালোবাসার সব সীমা-পরিসীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। পরিবারকে ছাপিয়ে বাঙালি জাতির প্রতি ভালোবাসার বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি বলেই তিনি বিশ্ব মানবজাতিকে নিয়েও ভাবতেন।
তার অস্তিত্ব ও রাজনীতিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল সেই ভালবাসা, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।
ঘাতকদের বুলেট বিদ্ধ না করলে হয়তো সেই ভালোবাসা আরো উদ্ভাসিত হতো। পালন করতে হতো না শোক দিবস!
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা চারটি খাতা ২০০৪ সালে আকস্মিকভাবে তারই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আসে। অনেক আগের খাতাগুলোর পাতা ছিল জরাজীর্ণ, লেখাও অস্পস্ট। মূল্যবান সেই খাতাগুলো পাঠ করে জানা যায় এটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী।
১৯৬৮ সালের মাঝামাঝি যা তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বসে লিখেছিলেন, কিন্তু শেষ করতে পারেননি।
তার সেই খণ্ড খণ্ড লেখা নিয়ে ২০১২ সালে প্রকাশিত হয়েছে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি।
আত্মজীবনী অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধুর ভাষায়- ‘একদিন সকালে আমি ও রেণু বিছানায় বসে গল্প করছিলাম। হাচু ও কামাল নিচে খেলছিল। হাচু মাঝে মাঝে খেলা ফেলে আমার কাছে আসে আর ‘আব্বা’ ‘আব্বা’ বলে ডাকে। কামাল চেয়ে থাকে। এক সময় কামাল হাচিনাকে বলছে, “হাচু আপা, হাচু আপা, তোমার আব্বাকে আমি একটু আব্বা বলি। ” আমি আর রেণু দু’জনই শুনলাম। আস্তে আস্তে বিছানা থেকে উঠে যেয়ে ওকে কোলে নিয়ে বললাম, “আমি তো তোমারও আব্বা। ” কামাল আমার কাছে আসতে চাইত না। আজ গলা ধরে পড়ে রইল। বুঝতে পারলাম, এখন আর ও সহ্য করতে পারছে না। নিজের ছেলেও অনেক দিন না দেখলে ভুলে যায়! আমি যখন জেলে যাই তখন ওর বয়স মাত্র কয়েক মাস। রাজনৈতিক কারণে একজনকে বিনা বিচারে বন্দি করে রাখা আর তার আত্মীয়-স্বজন ছেলে-মেয়েদের কাছ থেকে দূরে রাখা যে কত বড় জঘন্য কাজ তা কে বুঝবে? মানুষ স্বার্থের জন্য অন্ধ হয়ে যায়। ’
বইটির প্রচ্ছদের পরেই বর্ণনা করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পাওয়ার ঘটনা। বঙ্গবন্ধু কন্যা ২০০৭ সালে শেরে বাংলানগরে সাব জেলে বসে আত্মজীবনীর ভূমিকা লেখেন।
সেদিনের সেই হাচু আপা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিখেন, ‘আমার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জীবনের সব থেকে মূল্যবান সময়গুলো কারাবন্দি হিসেবেই কাটাতে হয়েছে। জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করতে গিয়েই তার জীবনে বারবার এই দুঃসহ নিঃসঙ্গ কারাজীবন নেমে আসে। তবে তিনি কখনও আপোস করেন নাই। ফাঁসির দড়িকেও ভয় করেন নাই। তার জীবনে জনগণই ছিল অন্তঃপ্রাণ। মানুষের দুঃখে তার মন কাঁদত। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাবেন, সোনার বাংলা গড়বেন- এটাই ছিল তার জীবনের একমাত্র ব্রত...। ’
‘নিজের জীবনের সুখ আরাম আয়েশ ত্যাগ করে জনগণের দাবি আদায়ের জন্য এক আদর্শবাদী ও আত্মত্যাগী রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন, বাঙালি জাতিকে দিয়েছেন স্বাধীনতা। বাঙালি জাতিকে বীর হিসেবে বিশ্বে দিয়েছেন অনন্য মর্যাদা, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ নামে বিশ্বে এক রাষ্ট্র সৃষ্টি করেছেন...। ’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে শহীদ হওয়ার পর দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করেছেন শেখ হাসিনা।
ভূমিকায় তিনি আরো লিখেছেন, ‘...এই মহানায়ক স্বাধীনতা সংগ্রাম শেষে যখন দেশ পুর্নগঠন ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন নিশ্চিত করছিলেন তখনই ঘাতকের নির্মম বুলেট তাকে জনগণের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে। স্বাধীন বাংলার সবুজ ঘাস তার রক্তে রঞ্জিত হয়েছে। বাঙালি জাতির ললাটে চিরদিনের জন্য কলঙ্কের টিকা অঙ্কন করে দিয়েছে খুনিরা। ’
শেখ হাসিনা লিখেন, একাত্তর সালে ২৫ মার্চ মধ্যরাতে স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়ার পরপরই আমাদের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িতে পাকিস্তানি সেনা বাহিনী হানা দেয় ও গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এরপর ছোট দু’ভাই রাসেল ও জামালকে নিয়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেন মা। ২৬ মার্চ রাতে আবারো হানা দেয়, তছনছ ও লুটপাট করে। ১৯৮১ সালে ১৭ মে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এলে জিয়া সরকারের অধীনে ছিল বাড়িটা। ওই বছরের ১২ জুন সাত্তার সরকার বাড়িটা হস্তান্তর করে। বাবার ঘুমাবার রুমের পাশে ড্রয়িং রুমের আলমারির উপরের এক কোণে কিছু খাতার মধ্যে আত্মজীবনীর জন্য লেখা খাতার জীর্ণ কিছু পাতা পাওয়া যায়।
‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র তথ্য অনুযায়ী, ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর বেদনা জর্জরিত শেখ হাসিনার হাতে আসে ৪টি খাতা। শেখ হাসিনার এক ফুপাত ভাই খাতাগুলো দিয়েছিলেন, সম্ভবত আরেক ফুপাত ভাই বাংলার বাণীর সম্পাদক শেখ ফজলুল হক মণির অফিসের টেবিলের ড্রয়ার থেকে খাতাগুলো পায়। সম্ভবত টাইপ করার জন্য সেখানে দিয়েছেলেন বঙ্গবন্ধু।
শেখ হাসিনা লিখেন, ‘খাতাগুলো হাতে পেয়ে আমি তো প্রায় বাকরুদ্ধ। এই হাতের লেখা আমার অতি চেনা। ছোট বোন রেহেনাকে ডাকলাম। দুই বোন চোখের পানিতে ভাসলাম। হাত দিয়ে ছুঁয়ে ছুঁয়ে পিতার স্পর্শ অনুভব করার চেষ্টা করলাম। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি; তারপরই এই প্রাপ্তি। মনে হল যেন পিতার আর্শীবাদের পরশ পাচ্ছি...’
‘মনে হচ্ছিল আব্বা আমাকে যেন বলছেন, ভয় নেই মা, আমি আছি, তুই এগিয়ে যা, সাহস রাখ। আমার মনে হচ্ছিল, আল্লাহর তরফ থেকে ঐশ্বরিক অভয় বাণী এসে পৌঁছাল আমার কাছে। ’
সদ্য প্রয়াত বেবী মওদুদ, শেখ হাসিনা আর শেখ রেহেনা পরে সেই খাতা থেকে পাঠ উদ্ধারের উদ্যোগ নেন।
বঙ্গবন্ধু ১৯৫৫ সাল থেকে আত্মজীবনী লিখেছেন, ১৯৬৬-৬৯ কারাগারে থাকাকালে।
তার অস্তিত্ব ও রাজনীতিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল সেই ভালবাসা, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।
ঘাতকদের বুলেট বিদ্ধ না করলে হয়তো সেই ভালোবাসা আরো উদ্ভাসিত হতো। পালন করতে হতো না শোক দিবস!
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা চারটি খাতা ২০০৪ সালে আকস্মিকভাবে তারই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আসে। অনেক আগের খাতাগুলোর পাতা ছিল জরাজীর্ণ, লেখাও অস্পস্ট। মূল্যবান সেই খাতাগুলো পাঠ করে জানা যায় এটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী।
১৯৬৮ সালের মাঝামাঝি যা তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বসে লিখেছিলেন, কিন্তু শেষ করতে পারেননি।
তার সেই খণ্ড খণ্ড লেখা নিয়ে ২০১২ সালে প্রকাশিত হয়েছে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি।
আত্মজীবনী অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধুর ভাষায়- ‘একদিন সকালে আমি ও রেণু বিছানায় বসে গল্প করছিলাম। হাচু ও কামাল নিচে খেলছিল। হাচু মাঝে মাঝে খেলা ফেলে আমার কাছে আসে আর ‘আব্বা’ ‘আব্বা’ বলে ডাকে। কামাল চেয়ে থাকে। এক সময় কামাল হাচিনাকে বলছে, “হাচু আপা, হাচু আপা, তোমার আব্বাকে আমি একটু আব্বা বলি। ” আমি আর রেণু দু’জনই শুনলাম। আস্তে আস্তে বিছানা থেকে উঠে যেয়ে ওকে কোলে নিয়ে বললাম, “আমি তো তোমারও আব্বা। ” কামাল আমার কাছে আসতে চাইত না। আজ গলা ধরে পড়ে রইল। বুঝতে পারলাম, এখন আর ও সহ্য করতে পারছে না। নিজের ছেলেও অনেক দিন না দেখলে ভুলে যায়! আমি যখন জেলে যাই তখন ওর বয়স মাত্র কয়েক মাস। রাজনৈতিক কারণে একজনকে বিনা বিচারে বন্দি করে রাখা আর তার আত্মীয়-স্বজন ছেলে-মেয়েদের কাছ থেকে দূরে রাখা যে কত বড় জঘন্য কাজ তা কে বুঝবে? মানুষ স্বার্থের জন্য অন্ধ হয়ে যায়। ’
বইটির প্রচ্ছদের পরেই বর্ণনা করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পাওয়ার ঘটনা। বঙ্গবন্ধু কন্যা ২০০৭ সালে শেরে বাংলানগরে সাব জেলে বসে আত্মজীবনীর ভূমিকা লেখেন।
সেদিনের সেই হাচু আপা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিখেন, ‘আমার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জীবনের সব থেকে মূল্যবান সময়গুলো কারাবন্দি হিসেবেই কাটাতে হয়েছে। জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করতে গিয়েই তার জীবনে বারবার এই দুঃসহ নিঃসঙ্গ কারাজীবন নেমে আসে। তবে তিনি কখনও আপোস করেন নাই। ফাঁসির দড়িকেও ভয় করেন নাই। তার জীবনে জনগণই ছিল অন্তঃপ্রাণ। মানুষের দুঃখে তার মন কাঁদত। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাবেন, সোনার বাংলা গড়বেন- এটাই ছিল তার জীবনের একমাত্র ব্রত...। ’
‘নিজের জীবনের সুখ আরাম আয়েশ ত্যাগ করে জনগণের দাবি আদায়ের জন্য এক আদর্শবাদী ও আত্মত্যাগী রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন, বাঙালি জাতিকে দিয়েছেন স্বাধীনতা। বাঙালি জাতিকে বীর হিসেবে বিশ্বে দিয়েছেন অনন্য মর্যাদা, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ নামে বিশ্বে এক রাষ্ট্র সৃষ্টি করেছেন...। ’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে শহীদ হওয়ার পর দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করেছেন শেখ হাসিনা।
ভূমিকায় তিনি আরো লিখেছেন, ‘...এই মহানায়ক স্বাধীনতা সংগ্রাম শেষে যখন দেশ পুর্নগঠন ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন নিশ্চিত করছিলেন তখনই ঘাতকের নির্মম বুলেট তাকে জনগণের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে। স্বাধীন বাংলার সবুজ ঘাস তার রক্তে রঞ্জিত হয়েছে। বাঙালি জাতির ললাটে চিরদিনের জন্য কলঙ্কের টিকা অঙ্কন করে দিয়েছে খুনিরা। ’
শেখ হাসিনা লিখেন, একাত্তর সালে ২৫ মার্চ মধ্যরাতে স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়ার পরপরই আমাদের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িতে পাকিস্তানি সেনা বাহিনী হানা দেয় ও গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এরপর ছোট দু’ভাই রাসেল ও জামালকে নিয়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেন মা। ২৬ মার্চ রাতে আবারো হানা দেয়, তছনছ ও লুটপাট করে। ১৯৮১ সালে ১৭ মে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এলে জিয়া সরকারের অধীনে ছিল বাড়িটা। ওই বছরের ১২ জুন সাত্তার সরকার বাড়িটা হস্তান্তর করে। বাবার ঘুমাবার রুমের পাশে ড্রয়িং রুমের আলমারির উপরের এক কোণে কিছু খাতার মধ্যে আত্মজীবনীর জন্য লেখা খাতার জীর্ণ কিছু পাতা পাওয়া যায়।
‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র তথ্য অনুযায়ী, ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর বেদনা জর্জরিত শেখ হাসিনার হাতে আসে ৪টি খাতা। শেখ হাসিনার এক ফুপাত ভাই খাতাগুলো দিয়েছিলেন, সম্ভবত আরেক ফুপাত ভাই বাংলার বাণীর সম্পাদক শেখ ফজলুল হক মণির অফিসের টেবিলের ড্রয়ার থেকে খাতাগুলো পায়। সম্ভবত টাইপ করার জন্য সেখানে দিয়েছেলেন বঙ্গবন্ধু।
শেখ হাসিনা লিখেন, ‘খাতাগুলো হাতে পেয়ে আমি তো প্রায় বাকরুদ্ধ। এই হাতের লেখা আমার অতি চেনা। ছোট বোন রেহেনাকে ডাকলাম। দুই বোন চোখের পানিতে ভাসলাম। হাত দিয়ে ছুঁয়ে ছুঁয়ে পিতার স্পর্শ অনুভব করার চেষ্টা করলাম। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি; তারপরই এই প্রাপ্তি। মনে হল যেন পিতার আর্শীবাদের পরশ পাচ্ছি...’
‘মনে হচ্ছিল আব্বা আমাকে যেন বলছেন, ভয় নেই মা, আমি আছি, তুই এগিয়ে যা, সাহস রাখ। আমার মনে হচ্ছিল, আল্লাহর তরফ থেকে ঐশ্বরিক অভয় বাণী এসে পৌঁছাল আমার কাছে। ’
সদ্য প্রয়াত বেবী মওদুদ, শেখ হাসিনা আর শেখ রেহেনা পরে সেই খাতা থেকে পাঠ উদ্ধারের উদ্যোগ নেন।
বঙ্গবন্ধু ১৯৫৫ সাল থেকে আত্মজীবনী লিখেছেন, ১৯৬৬-৬৯ কারাগারে থাকাকালে।
তার অস্তিত্ব ও রাজনীতিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল সেই ভালবাসা, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।
ঘাতকদের বুলেট বিদ্ধ না করলে হয়তো সেই ভালোবাসা আরো উদ্ভাসিত হতো। পালন করতে হতো না শোক দিবস!
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা চারটি খাতা ২০০৪ সালে আকস্মিকভাবে তারই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আসে। অনেক আগের খাতাগুলোর পাতা ছিল জরাজীর্ণ, লেখাও অস্পস্ট। মূল্যবান সেই খাতাগুলো পাঠ করে জানা যায় এটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী।
১৯৬৮ সালের মাঝামাঝি যা তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বসে লিখেছিলেন, কিন্তু শেষ করতে পারেননি।
তার সেই খণ্ড খণ্ড লেখা নিয়ে ২০১২ সালে প্রকাশিত হয়েছে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি।
আত্মজীবনী অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধুর ভাষায়- ‘একদিন সকালে আমি ও রেণু বিছানায় বসে গল্প করছিলাম। হাচু ও কামাল নিচে খেলছিল। হাচু মাঝে মাঝে খেলা ফেলে আমার কাছে আসে আর ‘আব্বা’ ‘আব্বা’ বলে ডাকে। কামাল চেয়ে থাকে। এক সময় কামাল হাচিনাকে বলছে, “হাচু আপা, হাচু আপা, তোমার আব্বাকে আমি একটু আব্বা বলি। ” আমি আর রেণু দু’জনই শুনলাম। আস্তে আস্তে বিছানা থেকে উঠে যেয়ে ওকে কোলে নিয়ে বললাম, “আমি তো তোমারও আব্বা। ” কামাল আমার কাছে আসতে চাইত না। আজ গলা ধরে পড়ে রইল। বুঝতে পারলাম, এখন আর ও সহ্য করতে পারছে না। নিজের ছেলেও অনেক দিন না দেখলে ভুলে যায়! আমি যখন জেলে যাই তখন ওর বয়স মাত্র কয়েক মাস। রাজনৈতিক কারণে একজনকে বিনা বিচারে বন্দি করে রাখা আর তার আত্মীয়-স্বজন ছেলে-মেয়েদের কাছ থেকে দূরে রাখা যে কত বড় জঘন্য কাজ তা কে বুঝবে? মানুষ স্বার্থের জন্য অন্ধ হয়ে যায়। ’
বইটির প্রচ্ছদের পরেই বর্ণনা করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পাওয়ার ঘটনা। বঙ্গবন্ধু কন্যা ২০০৭ সালে শেরে বাংলানগরে সাব জেলে বসে আত্মজীবনীর ভূমিকা লেখেন।
সেদিনের সেই হাচু আপা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিখেন, ‘আমার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জীবনের সব থেকে মূল্যবান সময়গুলো কারাবন্দি হিসেবেই কাটাতে হয়েছে। জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করতে গিয়েই তার জীবনে বারবার এই দুঃসহ নিঃসঙ্গ কারাজীবন নেমে আসে। তবে তিনি কখনও আপোস করেন নাই। ফাঁসির দড়িকেও ভয় করেন নাই। তার জীবনে জনগণই ছিল অন্তঃপ্রাণ। মানুষের দুঃখে তার মন কাঁদত। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাবেন, সোনার বাংলা গড়বেন- এটাই ছিল তার জীবনের একমাত্র ব্রত...। ’
‘নিজের জীবনের সুখ আরাম আয়েশ ত্যাগ করে জনগণের দাবি আদায়ের জন্য এক আদর্শবাদী ও আত্মত্যাগী রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন, বাঙালি জাতিকে দিয়েছেন স্বাধীনতা। বাঙালি জাতিকে বীর হিসেবে বিশ্বে দিয়েছেন অনন্য মর্যাদা, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ নামে বিশ্বে এক রাষ্ট্র সৃষ্টি করেছেন...। ’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে শহীদ হওয়ার পর দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করেছেন শেখ হাসিনা।
ভূমিকায় তিনি আরো লিখেছেন, ‘...এই মহানায়ক স্বাধীনতা সংগ্রাম শেষে যখন দেশ পুর্নগঠন ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন নিশ্চিত করছিলেন তখনই ঘাতকের নির্মম বুলেট তাকে জনগণের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে। স্বাধীন বাংলার সবুজ ঘাস তার রক্তে রঞ্জিত হয়েছে। বাঙালি জাতির ললাটে চিরদিনের জন্য কলঙ্কের টিকা অঙ্কন করে দিয়েছে খুনিরা। ’
শেখ হাসিনা লিখেন, একাত্তর সালে ২৫ মার্চ মধ্যরাতে স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়ার পরপরই আমাদের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িতে পাকিস্তানি সেনা বাহিনী হানা দেয় ও গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এরপর ছোট দু’ভাই রাসেল ও জামালকে নিয়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেন মা। ২৬ মার্চ রাতে আবারো হানা দেয়, তছনছ ও লুটপাট করে। ১৯৮১ সালে ১৭ মে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এলে জিয়া সরকারের অধীনে ছিল বাড়িটা। ওই বছরের ১২ জুন সাত্তার সরকার বাড়িটা হস্তান্তর করে। বাবার ঘুমাবার রুমের পাশে ড্রয়িং রুমের আলমারির উপরের এক কোণে কিছু খাতার মধ্যে আত্মজীবনীর জন্য লেখা খাতার জীর্ণ কিছু পাতা পাওয়া যায়।
‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র তথ্য অনুযায়ী, ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর বেদনা জর্জরিত শেখ হাসিনার হাতে আসে ৪টি খাতা। শেখ হাসিনার এক ফুপাত ভাই খাতাগুলো দিয়েছিলেন, সম্ভবত আরেক ফুপাত ভাই বাংলার বাণীর সম্পাদক শেখ ফজলুল হক মণির অফিসের টেবিলের ড্রয়ার থেকে খাতাগুলো পায়। সম্ভবত টাইপ করার জন্য সেখানে দিয়েছেলেন বঙ্গবন্ধু।
শেখ হাসিনা লিখেন, ‘খাতাগুলো হাতে পেয়ে আমি তো প্রায় বাকরুদ্ধ। এই হাতের লেখা আমার অতি চেনা। ছোট বোন রেহেনাকে ডাকলাম। দুই বোন চোখের পানিতে ভাসলাম। হাত দিয়ে ছুঁয়ে ছুঁয়ে পিতার স্পর্শ অনুভব করার চেষ্টা করলাম। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি; তারপরই এই প্রাপ্তি। মনে হল যেন পিতার আর্শীবাদের পরশ পাচ্ছি...’
‘মনে হচ্ছিল আব্বা আমাকে যেন বলছেন, ভয় নেই মা, আমি আছি, তুই এগিয়ে যা, সাহস রাখ। আমার মনে হচ্ছিল, আল্লাহর তরফ থেকে ঐশ্বরিক অভয় বাণী এসে পৌঁছাল আমার কাছে। ’
সদ্য প্রয়াত বেবী মওদুদ, শেখ হাসিনা আর শেখ রেহেনা পরে সেই খাতা থেকে পাঠ উদ্ধারের উদ্যোগ নেন।
বঙ্গবন্ধু ১৯৫৫ সাল থেকে আত্মজীবনী লিখেছেন, ১৯৬৬-৬৯ কারাগারে থাকাকালে।
No comments