Header Ads

কনে সহ বরযাত্রী নিখোঁজ

 মেঘনায় বরযাত্রীবাহী ট্রলারডুবি: নারী-শিশুসহ আটজন এখনো নিখোঁজ

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় মেঘনা নদীতে কনেসহ বরযাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত শিশু, নারীসহ আটজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একই পরিবারের চারজন রয়েছেন।

এ দুর্ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কনেসহ সাতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিখোঁজ একই পরিবারের চারজন হলেন হাতিয়ার আজিমপুর গ্রামের নাসিরুদ্দিন মিস্ত্রির স্ত্রী জাকিয়া বেগম (৫৫), তাঁদের ছেলে আবদুল কাদেরের সন্তান মো. হাছান (৭), মো. রুবেলের মেয়ে হালিমা (৪), রিয়াজুদ্দিনের মেয়ে নিহা (১) ও মহিউদ্দীনের মেয়ে নামিয়া (৩)। বাকি চারজন হলেন হাতিয়ার গয়ারচর গ্রামের মো. ইলিয়াসের ছেলে আমির হোসেন (দেড় বছর), ভোলার মনপুরার আবদুল কাদেরের মেয়ে নার্গিস বেগম (৪) ও কলাতলী এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে আলিফ (২)।

হাতিয়ার নলচিড়া নৌ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক আকরাম উল্লাহ বলেন, গতকাল দুর্ঘটনার পরপরই নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযানে নামে। তবে সন্ধ্যা নেমে আসায় অভিযান থেমে যায়। আজ সকালে আবার অভিযান শুরু হয়। এখন পর্যন্ত আটজন নিখোঁজ রয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলারটি টাংকিরঘাটে রাখা হয়েছে।

বেস্ট অফারে অরিজিনাল মাইক্রোফোন কিনুন। সাথে পাচ্ছেন ৬ মাসের অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি এবং হোম ডেলিভারি। আপনার পছন্দে Microphone সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন। আমাদের আরও কালেকশন দেখতে ছবিতে ক্লিক করুন>>>>>

হাতিয়ার নলের চর থেকে গতকাল বরযাত্রীবাহী ট্রলার ঢালের চর যাচ্ছিল। পথে ট্রলার উল্টে ডুবে যায়। এতে বুধবার দুপুর পর্যন্ত সাতজনের লাশ পাওয়া গেছে।

আজ দুপুরে নিখোঁজ জাকিয়ার বাড়ি গিয়ে তাঁর স্বামী নাসিরুদ্দিন মিস্ত্রির সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ট্রলারডুবিতে স্ত্রী ও তিন নাতি-নাতনিকে হারিয়েছেন তিনি। এখনো তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পরিবার, প্রশাসন ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা যায়, হাতিয়ার নলের চরের আজিমপুর গ্রামের ইব্রাহীম সওদাগরের মেয়ে মোছা. তাছলিমার (২১) সঙ্গে গত সোমবার মেঘনার ঢালচরের বেলাল মিস্ত্রির ছেলে ফরিদ উদ্দিন ওরফে শরীফের বিয়ে হয়। গতকাল তাছলিমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরের বাড়িতে নেওয়া হচ্ছিল।

বেলা দেড়টার দিকে চেয়ারম্যান ঘাটের দক্ষিণ-পশ্চিমে মেঘনার তীব্র স্রোতে ট্রলারটি উল্টে যায়। প্রবল স্রোতে সেটি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার টাংকিরঘাট এলাকায় ভেসে যায়। সেখানে জেলেরা নদীতে পাঁচটি লাশ ভাসমান অবস্থায় পান। তাঁরা লাশগুলো উদ্ধার করে রামগতি থানায় খবর দেন। অপর দুটি লাশ পাওয়া যায় হাতিয়ার চানন্দি ঘাটে।

নিহত সাতজন হলেন নববধূ তাছলিমা, তাঁর ফুপাতো বোন মোহম্মদপুর গ্রামের আক্তার হোসেনের মেয়ে আসমা বেগম (১৯), পূর্ব আজিম নগর গ্রামের বাসিন্দা ও তাছলিমার দাদি নুরজাহান (৬৫), একই এলাকার আলা উদ্দিনের স্ত্রী রাহেনা বেগম (৩০), নলের চরের কালাদুর গ্রামের ফয়জ্জুল্লার মেয়ে হোসনে আরা বেগম (৫) এবং সদর উপজেলার বদরিপুর গ্রামের আকবর হোসেনের মেয়ে আফরিনা আক্তার ওরফে লামিয়া (৯) ও আলমগীর হোসেনের মেয়ে লিলি আক্তার (৮)।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, নিহত সাতজনের পরিবারকে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। আরও মৃতদেহ পাওয়া গেলে তাঁদের পরিবারকেও একইভাবে সহযোগিতা করা হবে।

No comments

Theme images by ImagesbyTrista. Powered by Blogger.