Header Ads

পদ্মা সেতুর নির্মাণে তৃতীয় দিন দেখুন কি অবস্তা

 

পদ্মা সেতু ঘিরে তৃতীয় দিনেও উচ্ছ্বাসের সীমা




বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সেতু পদ্মা সেতু পুরো দৃশ্যমান হয়েছে বৃহস্পতিবার। ৪১ নম্বর স্প্যান খুঁটিতে বসানোর মধ্য দিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতু খরস্রোতা পদ্মা নদীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে গেছে। এ নিয়ে আনন্দিত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ।

আজ শনিবারও পদ্মা সেতু ঘিরে মানুষের উচ্ছ্বাস, আনন্দ ও সেতুর কাছে যাওয়ার চেষ্টা লক্ষ করা গেছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে এই মুহূর্তে সাধারণ মানুষের পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ নিষেধ। তাই অনেকে দূর থেকে পদ্মা সেতু দেখছেন, ছবি তুলছেন। সেতুকে দৃশ্যপটে রেখে ছবি তুলে স্মৃতি ধরে রাখছেন অনেকে।

ফরিদপুরের মধুখালী থেকে ১২ জন বন্ধুসহ মোটরসাইকেল নিয়ে পদ্মা সেতু দেখতে জাজিরার নাওডোবায় এসেছেন শুভ হাসান। ভাঙ্গার এক্সপ্রেসওয়ে ধরে নাওডোবায় এসে পৌঁছান শনিবার বেলা তিনটার দিকে। সেখানে প্রবেশে বাধা পান তাঁরা। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় অন্য পথে কাঁঠালবাড়ি হয়ে পদ্মার তীর ধরে তাঁরা সেতুর কাছাকাছি যান। দুই কিলোমিটার দূরে দাঁড়িয়ে পদ্মা সেতু দেখতে হয়েছে তাঁদের। শুভ হাসান বলেন, ‘দূর থেকে হলেও যে পূর্ণাঙ্গ সেতু দেখতে পেরেছি, তা–ইবা কম কী? এটা আমাদের সম্মান ও গর্বের সেতু। আগামী প্রজন্মের জন্য অর্থনীতির একটি মাইলফলক হয়ে থাকল।’

বেস্ট অফারে অরিজিনাল মাইক্রোফোন কিনুন। সাথে পাচ্ছেন ৬ মাসের অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি এবং হোম ডেলিভারি। আপনার পছন্দে Microphone সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন। আমাদের আরও কালেকশন দেখতে ছবিতে ক্লিক করুন>>>>>

রাজবাড়ীর কালুখালী থেকে আত্মীয়স্বজন মিলিয়ে ৪০ জনের একটি দল নিয়ে পদ্মার পাড়ে এসেছেন স্কুলশিক্ষক রোকসানা হাসান। তাঁদের বহনকারী বাস ও দুটি মাইক্রোবাস এক্সপ্রেসওয়ে ধরে সেতুর টোলপ্লাজার কাছে এলে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সদস্যদের বাধার মুখে পড়েন তাঁরা। গাড়ি ঘুরিয়ে কাঁঠালবাড়ির নদীর তীর ধরে নাওডোবা যান। এক কিলোমিটার দূর থেকেই দেখতে হয়েছে সেতু। রোকসানা হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের নিজেদের টাকায় সেতু। এটা অনেক গর্বের। এমন একটি অবকাঠামো বিজয়ের মাসে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে গেছে। স্মৃতিতে এটা থাকবে না, তা কি হয়? তাই তর সইছিল না। ছুটে এসেছি সেতুর কাছে। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে সেতুর কাছে যেতে পারিনি, সেতুটি ছুঁতে পারলাম না, এ আক্ষেপটা থেকে যাবে। পেছনে সেতু রেখে ছবি তুলেই আপাতত খুশি হয়েছি।’২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হতে থাকে। তারপর দীর্ঘ তিন বছরের বেশি সময়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুটি দৃশ্যমান হয় বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ২ মিনিটে। ওই দিনও পদ্মা পাড়ে সেতুর শেষ স্প্যান বসানোর সাক্ষী হতে হাজারো মানুষ ভিড় করেন।

পদ্মা সেতুর উত্তর প্রান্তে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া। এর কাছেই শিমুলিয়া ফেরিঘাট। আর দক্ষিণ প্রান্তে শরীয়তপুরের মঙ্গলমাঝির ঘাট ও শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাট। ওই নৌপথ দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করেন। নৌযানগুলোকে পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। গত বৃহস্পতিবার থেকে ওই নৌপথে লঞ্চ, স্পিডবোট ও ট্রলারে করেও অনেক মানুষ যাচ্ছেন পদ্মা সেতু দেখতে।

No comments

Theme images by ImagesbyTrista. Powered by Blogger.